নিম পাতার আশ্চর্যকিছু বৈশিষ্ট্য
নিমপাতা বৈজ্ঞানিক নাম(Azadirachta indica) গাছকে বলা হয় গ্রামের ঔষধালয় বা সর্ব রোগ নিবারণী। এই গাছ প্রায় ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা এবং লোক ঔষধি গাছ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদ ইউনানী ও লোকজ চিকিৎসায় নিম পাতার ব্যবহার আজও সমান কার্যকর, ৫০ থেকে ৬০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এছাড়া আমরা জানি নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং অন্যান্য ক্ষতিকর জীবন ও বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করতে পারে।
নিম পাতার উপকারিতা
নিম পাতায় আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গাস বৈশিষ্ট্য যা ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের আক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে, ঘামাচি, চুলকানি, একজিমা ফুসকুড়িতে নিম পাতা অত্যন্ত কার্যকর।
এছাড়া নিমপাতা চুলের জন্য প্রাকৃতিক টনিক এর মত কাজ করে চুলের খুসকি, চুল পড়া বা চুলকানি দূর করতে নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে ঠান্ডা করে শেষ ধোয়ায় ব্যবহার করলে চুল মজবুত ও উজ্জ্বল হয়।
তাছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও টোন ঠিক রাখা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্ত পরিশোধন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা, ম্যালেরিয়া নিরাময়, মুখের স্বাস্থ্য দন্ত চিকিৎসা আরো অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা বলে প্রায় শেষ করার মত নয়।
ব্যবহারের নিয়ম নীতি
- শরীরে ব্যাকটেরিয়া জড়িত সমস্যা হলে কয়েকটা নিম পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে হালকা কুসুম পানি গরম করে ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করতে হবে।
- মাথায় চুলকানি যদি জনিত সমস্যা হলে ব্লেন্ডার করে মাথায় 30 মিনিট দিয়ে রাখতে হবে।
- মাড়ী ব্যথা বা মুখের দুর্গন্ধের ক্ষেত্রে নিম পাতার ডাল দিয়ে মেসক বানিয়ে প্রতিদিন দুইবার সকালে ও রাতে মেসওয়াক করতে হবে।
- ডায়াবেটিকস রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। তবে তবে এটি খাবারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।
- ত্বকের ব্রণ ও কালচে ভাব দূর করতে লেবুর রসের সাথে নিম পাতা বেটে মুখে লাগালে খুব দ্রুত আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

ছায়ানীড় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url