অ্যালোভেরার গুনাগুণ বৈশিষ্ট ও উপকারিতা

 অ্যালোভেরা একটি ইংরেজি শব্দ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে ঘৃতকুমারী বা ঘৃতকাঞ্জন। এটি এক ধরনের রসালো উদ্ভিদ যার পাতার ভেতর থাকা স্বচ্ছ জেল জাতীয় পদার্থ শত শত বছর ধরে ঔষধি প্রসাধনী ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।  প্রাচীন মিশরীয় চেনা ও ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে অ্যালোভেরার ব্যবহার ছিল বহুল পরিচিত।  এক পুরো রসালো পাতার ভেতর লুকিয়ে আছে একটি স্বচ্ছ জেল যা হাজারো ওষুধে সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা ক্যাকটাসের মত দেখতে হলেও এটি আসলে লিলি পরিবারের অন্তর্গত একটি রসালো উদ্ভিদ।



অ্যালোভেরার পুষ্টি  ও পরিচয়ঃ

পরিচয়: অ্যালোভেরা হল একপ্রকার সাকুলেন্ট(sakulent) উদ্ভিদ। অর্থাৎ এটি নিজের পাতার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে পানীয় পুষ্টি ধরে রাখতে পারে। এটি সাধারণত গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে জমে থাকে। এর পাতাগুলো মোটা সবুজ এবং কাটাযুক্ত প্রান্ত বিশিষ্ট হয়ে থাকে, ভেতরে থাকে এক ধরনের ভরপুর থাকে ভিটামিন মিনারেল অ্যামাইনো এসিড ও অক্সিডেন্ট।

পুষ্টি: অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন A বিটা ক্যারোটিন C এবং E যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ পদার্থের প্রায় বৃষ্টি খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম জিংক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যোগ, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন ও পটাশিয়ামন এতে রয়েছে আটটি এনজাইম রয়েছে।  

এছাড়া  অ্যালোভেরা জেল এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০০টি এর ও বেশি সক্রিয় উপাদান যা এটিকে একটি সত্যিকারের সুপারফুড বানিয়েছে।


ত্বকের জন্য অ্যালোভেরাঃ

অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পানি ধরে রাখে এবং শুষ্ক ত্বকে গড়ে তুলে। তককে নরম ও কোমল এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ব্যাকটেরিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজিং গুনাগুন সমৃদ্ধ এটিকে একটি আদর্শ সুন্দর উপাদান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলছে।

  • পোড়া ও রোদে এর জন্য শীতলকারক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য।  বিশ্বে বিশেষত রোদে পোড়া ত্বক দ্রুত সারিয়ে তোলে এটি ত্বকের দ্রুত উৎসাহিত করে তুলে আদ্রতা বজায় রাখে মিউকোপলিস্যাকারাইড জল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন C ও  F ত্বকের পোলাদের সাহায্য করে।  ফলে ত্বক থাকে টনটনে ও যৌবন বৃদ্ধি পায়
  • ব্রোন ও দাগের জন্য এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে মুখে পাতলা করে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বক পরিষ্কার ও দাগিন থাকে
  • খুশকি ও চুল পড়া রোধে এলোভেরা তে থাকা প্রোটিন সমৃদ্ধ এনজাইম চুলের ফলিককে শক্তিশালী করে।  এর ফাঙ্গাস ব্রোন খুশকি কমাতে ও মাথার ত্বকের পিএইচ(PH) মাথা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে যা চুলকে নরম ও উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। 
এছাড়াও হজমশক্তি পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

অ্যালোভেরা ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিঃ

সঠিকভাবে জেল বের করার পদ্ধতি: পাতাটি কেটে কিছুক্ষণ লম্বালম্বি ভাবে রেখে দিন যাতে হলুদ ল্যাটেক্স বেরিয়ে যায়। এরপর পাতাটি ভালোভাবে ধুয়ে কাটা অংশ কেটে ফেলুন তারপর ছড়ি বা চামচের সাহায্যে ভেতরের ভেতরের জেলিাট বের করে নিন। তাহলেই এটি ব্যবহার বা খাবারের জন্য উপযোগী। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ছায়ানীড় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url